বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরের কচুয়ায় জাপান শাখা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের নামে প্রতিষ্ঠিত ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও শিশু দিবস পালিত পালন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে কচুয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আনন্দ ব্যালী করা হয়। এ সময় কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় ঝমঝম চাইনিজ রেস্টুরন্টে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী পালন করা হয়।

কেক কাটা পূর্বক আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন কচুযার কৃতি সন্তান জাপান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন প্রধান।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করা দাড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ই আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাৎ বরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ ইজ্জত হারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। আমরা জাতি হিসেবে অনেক গর্ব করি যে বঙ্গবন্ধুর মত একজন নেতা পেয়েছিলাম। একজন আওয়ামী লীগার হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুর একজন অনুসারী হিসেবে আমি আজকে নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি যে আজকে ভোরের পাতা সংলাপে আমি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা বলতে পারছি। এবং জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয় যে, আমরা এই সরকারের আমলে, এই সরকারের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করতে পারছি। এবং আরও সৌভাগ্যের বিষয় যে একই সাথে একই বছরে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছি। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে আমরা গর্ববোধ করছি যে, আজকে তার স্মৃতি স্মরণ করতে পারছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নিজেই একটি অবিস্মরণীয় নাম। সেদিন তিনি ডাক দিয়েছিলেন একই সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তির। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল জাতি হিসেবে বাঙালি। বীরের মতো লড়াই করে স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন করেছে। বিশ্ব-মানচিত্রে সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি ইউনেস্কোর Memory of the world register -এ নিবন্ধিত হয়েছে। এখন এটি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টারি হেরিটেজের অংশ। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি প্রাজ্ঞ ও কৌশলী ভাষণ। তাই পৃথিবীর অনেক রাষ্টবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক ৭ মার্চের ভাষণকে নিয়ে করেছেন বহুমাত্রিক আলোচনা। তিনি সেদিন বলেছিলেন, ‘আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদেরও কাছে আমার অনুরোধ রইল, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে, এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা আছে সব কিছু আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমরা বন্ধ করে দিবে।… মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।’ আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু এই ভাষণটির জন্য সেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সারাজীবন ধরেই তিনি এই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

এসময় সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর